December 23, 2024, 2:18 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কালবৈশাখীর তান্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কুষ্টিয়া জুড়েই। ঝড়ের সাথে ছিল বৃষ্টি। দুটোই ছিল ক্ষতির ক্ষমতা সম্পন্ন। ঝড় ও বৃষ্টিতে অনেক গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। আম, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উড়ে গেছে শত শত ঘরের টিনের চালা। উপড়ে গেছে অনেক গাছ। গাছের ডাল পড়ে তার ছিঁড়ে অনেক স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
শনিবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঝড় শুরু হয়। প্রায় ১৫ মিনিট স্থায়ী ছিল এ ঝড়।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঝড়ের তাণ্ডবে শত শত গাছপালা ভেঙে রাস্তায় পড়ে আছে। শত শত হেক্টর জমির আম, কাঁঠাল, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
অনেক বাগানের সব আম ঝড়ে পড়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেছে আম চাষীদের। অনেক জায়গায় পেঁপে বাগানের খুব ক্ষতি হয়েছে। বেশির ভাগ পেঁপেগাছ উপড়ে গেছে।
অনেক জায়গায় এখনও ধান উঠছে। ধানগাছগুলোও পড়ে গেছে।
কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জানে আলম জানান সামান্য সময়ের ঝড়েই সড়কের দুপাশে শত শত গাছের ডালপালা ভেঙে পড়েছে। কিছু কিছু জায়গায় এলাকাবাসীর সহায়তায় আবার কোথাও কোথাও ফায়ার সার্ভিসের টিম গাছগুলো সড়ক থেকে সরিয়ে নিয়েছে।
কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (টেকনিক্যাল) মোকসেমুল হাকিম জানান পুরো জেলা জুড়েই ঝড় ছিল। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে এবং গাছের ডাল পড়ে তার ছিঁড়ে অনেক স্থানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে আছে। মেরামতের কাজ চলছে।
জেলার বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ে কয়েকঘন্টা অচল হয়েছিল। নিজস্ব জেনারেটর সিস্টেম ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়া হয়।
কুমারখালী আবহাওয়া অফিসের অফিসার ইনচার্জ মামুন আর রশিদ বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে ৭ কেটিএফ ঝড় ও ২৫ মিমি বৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। তবে কুমারখালী উপজেলায় ঝড়ের মাত্রা অন্যান্য উপজেলার চেয়ে তুলনামূলক কম হয়েছে।
কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুশান্ত কুমার প্রমানিক বলেন, ঝড়ে আম, লিচুসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাৎক্ষণিক ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি। তবে কৃষি বিভাগের লোকজন মাঠে গিয়ে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ করছে।
এদিকে আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন এ মাসেই আরো একটি বা দুটি কালবৈশাখী আসতে পারে।
Leave a Reply